সম্প্রতি গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের এক কর্মসূচিতে প্রকাশ্যে এক নারীকে লাথি মারার ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জামিনে মুক্তির পরে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানোকে ঘিরে নানা আলোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বামধারার রাজনৈতিক সংগঠনগুলো এবং নাগরিক সমাজ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাস ও মুক্তির প্রতিবাদে গত ২৮শে মে বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব এলাকায় গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের ডাকা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সময় হামলা চালায় শাহবাগবিরোধী ঐক্য।
এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। এদিন এক নারীসহ দুজনকে লাথি মারার ১৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিওতে দেখা যায়, হামলার পর প্রেসক্লাবের পাশে একটি ভবনের নিচে আশ্রয় নিয়েছিলেন গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নেতা–কর্মীরা। সেখানে এক পুলিশ সদস্যকেও দেখা গেছে।
ওই ব্যক্তি পুলিশের চোখ এড়িয়ে নেতা–কর্মীদের পেছনে যান। সেখানে দাঁড়িয়ে হঠাৎ একজনকে লাথি মারেন তিনি। এরপর ঘুরে আবার আরেক নারীকে লাথি মারেন।
পরে জানা যায়, লাথি মারা ওই যুবকের নাম আকাশ চৌধুরী। যিনি ছাত্রশিবিরের চট্টগ্রাম মহানগরের ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা। এর আগে তার বিরুদ্ধে নগরের মুরাদপুরে সুন্নিদের কর্মসূচিতে হামলারও অভিযোগ ছিল।
এরপর সমালোচনার মুখে আকাশ চৌধুরীকে কর্মী পদ থেকে ‘বহিষ্কার’করে জামায়াতে ইসলামী। তার একদিনের মাথায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ৩০শে মে মহানগর জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহর সই করা বিবৃতিতে আকাশ চৌধুরীকে বহিষ্কারের তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।